এই ব্লগটা লগইন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আমি একজন জার্মান প্রবাসি।আজকে প্রায় বিশ বছর ধরে আমি এ দেশে বসবাস করিতেছি।বলা যায় জার্মান আমার দ্বিতীয় স্বদেশ।এর আগেও আমি আরো বেশ কয়টা দেশে অবস্হান এবং ভ্রমন করেছি।আমার জীবনের অর্ধেকের চেয়ে বেশীদিন এই নির্মম প্রবাসে কে্টে গেছে।এই প্রবাস আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, আবার অনেক কিছু খয়ে নিয়েছে।যা দিয়েছে,তার চেয়ে বেশী নিয়েছে।মা-বাবা বোন আত্মিয় স্বজন বন্ধু বান্ধব পড়শী, অনেককে চিরতরে হারিয়ে ফেলেছি।আবার যারা বেঁচে আছেন তাদেরকে ও অনেক দিন ধরে দুচোখে দেখিনা।আমার দুভাইয়ের সাথে দেখা হলো প্রায় আঠার বছর পরে।দেশে গেলে এক প্রজন্মকে তো মোটেই চিনিনা।যাদেরকে চিনি তাদের মাঝে সে আগের মত আর আন্তরিকতা নাই।মনে খুব কস্ট পাই।জার্মান আমার দ্বিতীয় স্বদেশ হলেও আমি মনে প্রানে একজন খাঁটি বাঙালী।প্রতিদিন প্রতিখ্খন আমার জন্মভূমি সোনার বাংলার কথা মনে পড়ে একে একে সকল স্বজনের কথা মনে পড়ে,সবার ভালবাসায় গিরে ধরে প্রতিনিয়ত আমাকে কাঁধায়।আমি কেঁধে কেঁধে সবাইকে উদ্দেশ্য করে আত্মার ভাষায় সাজায়েছি গীতলতা।ভালবাসার কথাতো শুধু আত্মার মুখেই বলতে পারে। -----ফারুক।

বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০১১

রাজনিতী-জার্মান বনাম বাংলাদেশ।

রাজনিতী বুঝিনা, কিন্তু আজ কাল বাংলা পত্র পত্রিকা দেখলে মনে হয়, সিয়াম উৎসবের সাথে সাথে বাংলাদেশে রাজনিতীর ও মহা উৎসব চলিতেছে।নানা ধরনের ইফতার পার্টির আয়োজনের মাধ্যমে বড় দল গুলি ছোট  ছোট দল গুলি এবং নাম না জানা দলগুলিকে নিয়ে ও জোট বাঁধার আপ্রান চেস্টা করে যাচ্ছে।অবশ্য এ পক্রিয়া আরো কিছুদিন আগে থেকে শুরু হয়েছে।কিন্তু রাজকোষের অর্থ দিয়ে নেতার মাথা কেনা যত সহজ, যুক্তি তর্ক আর আদর্শ দিয়ে নেতার মাথা কেনা তত সহজ নয়।
আমাদের চতুর নেতা গনের মধ্যে কোন আদর্শ নাই। সবার লখ্য নিজের আখের গোছানো।উনারা অনেক আগেই আমাদের সকল গর্ব খর্ব করে দিয়েছেন।আজ মনে হয় আমাদের স্বাধিনতা আর একুশে ফেব্রয়ারির কোন প্রয়োজন ছিলনা।অহেতুক আমরা  পালন করি বিজয় দিবস আর স্বাধিনতা দিবসের মত দিবস গুলি।লোক দেখানোর প্রয়োজনে সহীদ মিনারে যাই।
এক জন অবচেতন মনের কবি সারা রাত জেগে থাকে একটা উপযুক্ত শব্দের জন্য, তারপরও আবার হাজার বার ভাবে এ শব্দটা ব্যবহার করা আমার ঠিক হবে কিনা।কিন্তু আমাদের অবচেতন মনের নেতারা জনগনকে তোয়াক্কা না করে হুট করে কত কথা বলে ফেলে। এমন কি কত আইন পাশ করে ফেলে।কাজের কাজ কিছুই হয়না।
বর্তমান খমতাসিন দল পারে সু কৌশলে এই সব জোট মোট লাথি মেরে ফেলে দিতে পারে।যেমন সব দল একক ভাবে নির্বাচন করার পর জোট গঠন করা যাবে এমন একটা আইন পাশ করা হউক জার্মানের মত।জার্মানে যে কোন দল পার্লামেন্টে যেতে হলে নুন্যতম ৫% ভোট পেতে হয়।অবশ্য জার্মানের বর্তমান খমতাসিন দল সি ডি ইউ ও সি এস ইউ  যমজ বোনের মত একক ভাবে নির্বাচন করে।তারপরও খমতায় যাবার মত মান্ডাত না থাকায়  ছোট দল এপ ডি পি কে নিয়ে জোট গঠন করে খমতা গ্রহন করেছে।জার্মানের সবচেয়ে পুরানো দল (ভারতের কংগ্রেস পার্টি থেকেও পনর বছর পুরানো)এস পি ডি ও খমতায় যেতে হলে নির্বাচনের পর জোট গঠন করে খমতায় যায়।জনগন যে দিন চালাক চতুর হবে সে দিন রাজনিতী ও কঠিন হয়ে যাবে এটা স্বাভাবিক।জনগনের হাতে জুতার বাড়ি ডিম মারা আর লাতি উস্টা খাবার আগে নেতারা ভাল হয়ে গেলেই সবার মঙল।

শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০১১

দিল দরিয়া রে,

দিল দরিয়ারে বাবা,দিল দরিয়া তোমার
তোমার দিলটা যেন দিল দরিয়া।খ্যপারে
খ্যপাইয়া তুমি দিয়াছ পাগল বানাইয়া।

মা-বাবায় দিল চারে চারে আট আনা।
আট আনা পুঁজি করি লাভ করিলাম ষোল
আনা।ষোল আনা পুঁজি করি তোর দিল
দরিয়ায় দিলাম পাড়ি,লওরে ত্বরাইয়া বাবা
লওরে ত্বরাইয়া।

যত খাইরে হাবু ডুবু,ডাকবো তোরে আমি
তবু। তুই হলিরে রাজাধিরাজ আমার প্রানের
প্রভু।আমি শত আনা লাভ করিতে চাই রে
বাবা ষোল আনা লইয়ারে বাবা ষোল আনা
লইয়া।

বুধবার, ৬ এপ্রিল, ২০১১

ঔরে খ্যপা...

ঔরে খ্যপা.. মায়ের মত শাসন করিস,
বাপির মত সুধাস মোরে।ভুল গুলি
মোর হয়ে যাবার পরে।কেন আগে
সুধাস না আমারে।

ঔরে খ্যপা..
আমি পথে পথে কতো ভুল করি।
কতো চোর ডোরেরে ভক্তি করি।
তোর চরন চাড়ি,শরমে যাই মরি,
কেন সুধাস না তুই আমারে।

ঔরে খ্যপা....
তুই হলিরে মোর মনো মুর্শিদ,আমি
হলাম তোর আনাড়ি শারগীদ।শাহস 
করে চলি,মনে মনে বলি,না ফোটা
কলি ফুটাবি তুই আমারে।

ঔরে খ্যপা....

ঔরে খ্যপা, তুই ধরলিরে হালের কুঁন্ডি,
জুমাইল দিলি আমার কাঁন্দে।আমি গরুর
মত টানি নাঙল পড়িযা তোর ফাঁন্দে।

ঔরে খ্যপা,চাস করিলি তুই সোনার ফসল
এই সুকনো মাটিতে।কত ঘু ঘু ছুটে আসে
ঠুকে ঠুকে খাইতে।সে ডরেতে তোর হালের
গরুটা কান্দে।

ঔরে খ্যপা,কেমন চাষি হলিরে তুই মানুষেরে
বানাইলি তুই গরু।আমি করিলাম শুরু ভাবিয়া
তোরে গুরু।আমারে তুই পালাইলি এ কোন ধন্ধে।

খ্যপা বলে বলেরে---

খ্যপা বলে বলেরে.....
মাটির ঘর মাটির বিছানা,তোমার
আমার স্হায়ি ঠিকানা।কেন বুঝনারে
ভাই,কেন বুঝনা।

তোমার দালান কোঠা সোনার পালঙ
আরাম কেদারা।আয়েশী জীবন করবে
তোমায় ঘর চারা।তুমি যাবে একা একা
সাথে কিছু যাবে নারে,কিছুই যাবেনা।

যতই করো চল্ চাতুরি,যতই করো
বড়াই বাহাদুরি।আজ না হয় কাল
তুমি যাবে মরি।তোমার নিথর দেহ
পড়ে রবেরে,,,তুমি কিছু করতে
পারবে না রে কিছুই করতে পারবে না।

আমি যারে চাই,

আমি যারে চাই,পাইনারে তারে খ্যাপা,
যারে পাই তারে চাইনা।তার লাগিয়া
জীবনটারে শেষ করে দেবার তো কোন
মানে হয়না।

আমি খুজিলাম তারে দেশ দেশান্তরে,
সে তো বসত করে আমার অন্তরে।
আমি কেমন করে দেখি তারে,অন্তর
আমার বন্ধরে।দেখা যায় না।

বহু গুনে বহু রুপে বিলাসি সেজন।
আমি তারি প্রেমের আসিক এক জন।
আমি তারি প্রেমে পড়ে,ডুব দিয়েছি সুর
সাগরে।ভিবাগী হলাম আমি এ মায়া
কানন আর চাইনা।

মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০১১

রসের সন্ধানে,

রসের সন্ধানে নেমেছে খ্যাপা ঝস চায়
নারে।কারো বস মানেনা,পোষ মানেনা
খ্যাপা কারো ডর করে নারে।

ভেজালে ভরে গেছে ভবের এ হাঁট
বাজার।খাঁটি জিনিস মিলেনারে জুটা
কথায় খ্যাপা বেজার।তত্ব মত্ব সবি
সত্য নয়রে।

ভালো কথা বলে বড় লোকে,ভাল
কর্ম করে চর্ম লোকে।চোর চামচা
চলে সাধুর পোশাকে।কেউবা ভাল
কেউবা মন্দ,আবার কেউবার কপাল
মন্দরে এ তো জগতের ধন্ধরে।

রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০১১

khepa: ঔরে খ্যাপা,

khepa: ঔরে খ্যাপা,: "ঔরে খ্যাপা- খ্যাপা মন মনরে আমার, অন্যায় করে তুই তো বেঁচে যাবি, মারবি আমারে।ভাল কর্মে ভাল ফল মন্দ কর্মে রসাতল,কেন বুঝিসনারে। ঔরে খ্যাপা, বুঝ..."

দুধের মূল্য না হয়,

দুধের মূল্য না হয় তোমায় দেবো
গো মা-বলো মা্টির মূল্য মোরা
কারে দেবো।কার চরনে লুটে পড়ে
আকূল হয়ে সালাম জানাবো।

যে মাটির পরে বাঁচি মোরা,যে
মাটিতে মোদের জীবন ধারা।যে
মাটির গন্ধ মোদের রক্তে বহে,
যে মাটি আছে সত্য গ্রহে।বলো
সে মাটির মূল্য মোরা কারে দেবো।

যে মাটি দিয়ে গড়া মোদের দেহ
মন।যে স্যমল মাটি অঙে মাথি
সাজি রঙের সাজন।যে মাটির ঘরে
শুয়ে দেখি স্বপন।যে মাটির পরে
দাঁড়িয়ে সূখে গুড়ি উড়াই দুর গগন।
বলো সে মাটির মূল্য মোরা কারে দেবো।

যে মাটিতে জন্মেছে কত দেব দেবি।
কত গুনি মুনি ঋষি,কত বাউল কবি।
যে মাটিতে ফলে সোনা দানা।
যেথায় কুটুম পাখির আনাগোনা।
যে মাটির টানে মোরা যুদ্ধ করি,
যে মাটির টানে মোরা গান ধরি,
বলো সে মাটির মূল্য মোরা কারে দেবো।

শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০১১

মাছের আগে পঁচে,

মাছের আগে পঁচে মগজ,মানুষের
পঁচে কলিজা্।মরার পরে সকল
জীবের হবেরে এমন নতিজা্।

খ্যাপা মন মনোরে আমার---
অমূল্য ধন তোর শিখ্খা দীখ্খা
হাত পাতিলে গ্যনবুদ্দি পায়নারে
ভিখ্খা।আঁধারে রাখবে তোরে
অশিখ্খা কুশিখ্খা।দিন থাকিতে
ভজ তারে সোজা সোজা।

খ্যাপা মন মনোরে আমার---
জাত পাতের বিচার করিসনারে
কভু।মেনে নেরে সবার মাথার
উপর আছেন একজন প্রভূ।যে
তোমারে জীবন দিয়া দিবে আবার
মরন সাজা।

বাউলরে তোর,

বাউলরে তোর একতারাটি কেমনে এমন
বাতাসে বাজে।গুরিসরে তুই পথে পথে
কোন দিন দরদী সাঁইয়ের খোঁজে।

বাউলরে তুই খুজিস যারে,পথে পথে গুরে।
থাকেন তিনি লখ্খকুঠী যোজন  দুরে।
আলোর নাচন করেন তিনি আরসি নগর
জুড়ে।শীশ মহলে থাকেন তিনি সাধুর সাজন
সেজে।

বাউলরে তুই কার কথা ধরি,একতারারে
সান্গী করি।সাত আসমানে দিলিরে পাড়ি।
খ্যাপা বলে পাবি তারে সহজে,তুই ডুব
দিয়া দেখ প্রেম যমুনার মাঝে।

মরন দশার দাশরে,

মরন দশার দাশরে আমি খ্যেপা
হতাশায় কি দঃখ যায় মাপা।
আমার মরার পরেরে তুই সব
করিস রপা দপা।

আমার সব কিছু শেষ যাবেরে
তুই থাকিস পাহারা।কাউকে কিছু
বলিসনারে কতো আরলুটেপুটে খাবে
সত্রুরা।সমাধিতে নাম লিখে দিসরে
খ্যেপা,আমাকে দিস মাটি চাপা।

বিবাদ পড়েছি বড় বিপদে,বাধা
পেলাম পদে পদে।সবাই ছিল সবল
কদে কদে, আমার সকল বরবাদে।
তুই হলিরে মোর ভাগ্য বিধাতা,
আমার প্রানো নাথ খ্যেপা।